❒ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে “প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে”
❒ দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারীকে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার বাইরে রেখে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
❒ নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করে তাঁদেরকে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত করার জন্য নারী নেতৃত্ব বিকাশের কোন বিকল্প নেই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই নারীর নেতৃত্ব বিকাশের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন। সংবিধানের ১৯,২৭,২৮ এবং ২৯ অনুচ্ছেদে নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করার বিষয়ে রাষ্ট্রের অঙ্গীকার রয়েছে। সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে “প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে” বিধানের আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ে নারী নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে।
❒ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নারীবান্ধব পদক্ষেপ নারীর নেতৃত্ব বিকাশে ইতিবাচক অবদান রেখেছে এবং রাখছে।
❒ স্বাধীনতার পর পরই নন ক্যাডার সরকারি চাকুরিতে মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে মেয়েদের পদচারণা শুরু হয় ১৯৮১-১৯৮২ সাল থেকে। সিভিল সার্ভিসে নারী দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনে ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ এবং বৈষম্যের শিকার হয়। কর্মক্ষেত্রে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ এবং বৈষম্য সমাধানে নারী এককভাবে সমর্থ নন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটি সমাধানের জন্য নারীর সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এ সত্যটি অনুধাবন করে সরকার তথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (প্রাক্তন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়) নারী কর্মকর্তাদের নেটওয়ার্কিং এর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে।
❒ এর পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দিক- নির্দেশনায় এবং UNDP এর আওতাধীন সিভিল সার্ভিস চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর পথ চলা শুরু হয়।
❒ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে কর্মরত সকল নারী কর্মকর্তার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি ও জেন্ডার ন্যায্যতা আনয়নে বৈষম্যমুক্ত কর্ম-পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মরত নারী সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সহমর্মিতা ও একাত্ববোধ জাগ্রতকরণ এবং যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরিতে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক আজ এক পরিচিত নাম।
❒ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম, স্ব পরামর্শ ও সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে আন্তঃক্যাডার সম্পর্কের ছোট চারা গাছটি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই পথ পরিক্রমায় নেটওয়ার্ক নানা প্রতিকূলতা পাড় করেছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও নেটওয়ার্ক কর্তৃক সম্পাদিত বেশ কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে বর্তমানে নেটওয়ার্ক সকলের নিকট দৃশ্যমান।