জনপ্রশাসন প্রাক্তন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং CSCMP এর কারিগরী সহায়তায় বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর গঠন সংক্রান্ত ২ টি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর বিভিন্ন ক্যাডার এর নারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপ ২ টিতেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ইকবাল মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতে ২৮ অক্টোবর ২০১০ তারিখের কর্মশালায় সর্বসম্মতভাবে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী কমিটি অনুমোদিত হয়। নির্বাহী কমিটিতে সুরাইয়া বেগম এনডিসি সচিব (ভারপ্রাপ্ত) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সভাপতি, নাসরিন আক্তার, উপসচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়- কোষাধ্যক্ষ সহ ২৮ ক্যাডার থেকে ১ জন করে সদস্য মনোনীত হন। সেসাথে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, সদস্য সংগ্রহ এবং বিভিন্ন Thematic area তে কাজ করার জন্য নিম্নোক্ত ৮ টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়ঃ
![]() উইমেন নেটওয়ার্ক
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
![]() উপকমিটি
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নাছিমা বেগম, যুগ্ম-সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কে আহ্বায়ক করে গঠিত ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পর পর কয়েকটি সভা করে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়ন করে। নির্বাহী কমিটির ১৭/১১/২০১১ তারিখের সভায় উক্ত গঠনতন্ত্র কিছু সংশোধনী সহ অনুমোদিত হয়।
জনপ্রশাসন প্রাক্তন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং CSCMP এর কারিগরী সহায়তায় Gender Equality in Public Administration বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর বিভিন্ন ক্যাডার এর নারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী,মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন আব্দুস সোবহান শিকদার, সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় এবং সুরাইয়া বেগম এনডিসি, সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পর সংগঠনটির রেজিষ্ট্রেশন এর অনুমতি চেয়ে ৩/০১/২০১২ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার প্রেক্ষিতে ২২/০১/২০১২ তারিখে উক্ত অনাপত্তি পাওয়া যায়। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ২৬/০২/২০১২ তারিখে “বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক” এর নামের সনদপত্র এবং ৭/৭/২০১৩ তারিখে নিবন্ধন সনদপত্র যার নম্বর- ঢ-০৯০৫৮ পাওয়া যায়
বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মহীয়সী নারীদের জন্য উৎসর্গীকৃত দিবস সমূহ পালন করে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নারী কর্মকর্তাদের অনুপ্রাণিত করা বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের অন্যতম কাজ। একটি দেশের সুষম ও স্থায়িত্বশীল আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। নারীর সম্পৃক্ততাছাড়া এই উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকারি লেঠেল বাহিনীর দমনপীড়ন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের এক জন। এর পর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালকে ‘নারী বর্ষ’ ঘোষণা করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। ৮ মার্চ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সংগ্রামী নারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে নারীরা নিজেদের জীবন দিয়ে সকল নারীর অধিকার আদায়ের সূচনা করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ৮ মার্চ বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপন করে থাকে।
জেন্ডার গাইডলাইন এবং বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত ২ টি উপ-কমিটি গাইড লাইনের খসড়া প্রণয়ন করে। প্রণীত খসড়ার উপর নির্বাহী কমিটির অনুমোদন গ্রহণ শেষে ৫ টি বিভাগীয় পর্যায়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে জেন্ডার গাইড লাইনটি চূড়ান্ত করা হয়। গত ২৯/০৮/২০১৩ তারিখে lunching of BCSWN & Gender Guidelines Handover Ceremony রূপসী বাংলা হোটেল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী প্রধান অতিথি, মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আব্দুস সোবহান শিকদার, সচিব জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি সুরাইয়া বেগম এনডিসি কর্তৃক জেন্ডার গাইড লাইনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব জনাব আব্দুস সোবহান শিকদার বরাবর হস্তান্তর করা হয়।
এই জেন্ডার গাইড লাইন পর্যালোচনার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সকল অনুবিভাগ প্রধান সমন্বয়ে গঠিত কমিটি বেশ কয়েকটি সভা করে। এটি বর্তমান বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর বিবেচনাধীন রয়েছে।
সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্তির জন্য নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে একটি খসড়া Training Module প্রণয়ন করার পর বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।
মিশন (Mission), ভিশন (Vision), অবজেকটিভস (Objectives) এবং লোগো (logo) নির্ধারনঃ
বাংলাদেশে এমন একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে যেখানে নারী ও পুরুষ সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বত্র সমান সুযোগ ও অধিকার লাভ করবে। মৌলিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের জেন্ডার বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্র এবং গণজীবনের যাবতীয় কর্মকান্ডে নারী-পুরুষ সমভাবে অংশ নেবে রাষ্ট্রীয় এই মূল নীতির সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর মিশন, ভিশন এবং অবজেকটিভস নির্ধারন করা হয়। উল্লেখ্য, এ সংক্রান্তে গঠিত উপ কমিটির মতামতের উপর নির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন করে যা নিম্নরূপঃ
❐মিশন (Mission)
Our mission is to facilitate the creation of a discrimination-free working environment for all female civil servants in Bangladesh.
❐ভিশন (Vision)
A discrimination-free working environment that brings gender equity into the Bangladesh Civil Service with equal opportunities for all female civil servants.
অবজেকটিভস (Objectives)
বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের বিভিন্ন কর্ম কান্ডের উপর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিউজ লেটার প্রকাশিত হয়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে নারী কর্মকর্তাদের উজ্জীবিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়
গত ১৮/০৩/২০১৪ তারিখে Gender Training Module for the Public Sector Senior Managers এর মতামত সংগ্রহের জন্য বিয়াম ভবনে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় প্রায় ৩০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪/০৫/২০১৪ তারিখে নেটওয়ার্কের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা পুলিশ কনভেনশন হল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমত আরা সাদিক, এমপি উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা এবং সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৫১০ সদস্যের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্বান্ত সমূহ নিম্নরূপঃ
❒ ২০১৪ সালের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন;
❒ ২০১৩ সালের আয় ব্যয়ের হিসাব এবং ২০১৪ সালের সম্ভাব্য বাজেট অনুমোদন;
❒ গঠনতন্ত্র অনুমোদন এবং ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির ২ পদের পরিবর্তে ৩ পদ অনুমোদন পূর্বক ২০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদনের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন;
❒ ২০ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ১০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন।
❒ নেটওয়ার্কের বিভিন্ন কমিটি অনুমোদন;
❒ নেটওয়ার্কের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, মিশন, ভিশন এবং অবজেকটিভ নির্ধারন;
❒ লোগো নির্বাচন;
❒ নেটওয়ার্কের নাম সহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন;
❒ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের জন্য জেন্ডার গাইড লাইন প্রণয়ন এবং সরকারের কাছে হস্তান্তর;
❒ জেন্ডার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রণয়ন;
❒ ওয়েবসাইট প্রণয়ন;
❒ ত্রৈমাশিক ভিত্তিতে নিউজলেটার প্রকাশ;
❒ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১২ উদযাপন;